E-Paper

মাদ্রাসাতেও পাশের হার কমল, উদ্বেগ

বহরমপুরের স্কুল আইসিআইয়ের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত দত্তের মতে, সামগ্রিক ভাবে মুর্শিদাবাদ যে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে দু’টি পরীক্ষার সামগ্রিক ফল তারই সাক্ষ্য দিচ্ছে।

মাদ্রাসা পরীক্ষায় প্রথম আশিক ইকবালকে নিয়ে সহপাঠীদের উচ্ছ্বাস। ভাবতায়। ছবি: গৌতম প্রামাণিক

মাদ্রাসা পরীক্ষায় প্রথম আশিক ইকবালকে নিয়ে সহপাঠীদের উচ্ছ্বাস। ভাবতায়। ছবি: গৌতম প্রামাণিক

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২৩ ০৯:০১
Share
Save

মাধ্যমিকের পর হাই মাদ্রাসাতেও পাশের হার কমল। ফলে মুর্শিদাবাদে উদ্বেগ বাড়ছে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে।

বহরমপুরের স্কুল আইসিআইয়ের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত দত্তের মতে, সামগ্রিক ভাবে মুর্শিদাবাদ যে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে দু’টি পরীক্ষার সামগ্রিক ফল তারই সাক্ষ্য দিচ্ছে। তিনি বলেন, “সামগ্রিক ভাবে সরকারি স্কুলের হাল আরও খারাপ অবস্থায় যাচ্ছে। যদি জেলা শিক্ষা দফতর নজর না দেয় তবে জেলার গ্রামাঞ্চলের শিক্ষা পুরোপুরি ভেঙে পড়বে। কোনও স্কুলে কোনও বিষয়ে শিক্ষক বেশি, কোথাও কোনও বিষয়ে শিক্ষকই নেই। এই সমস্যা জেলার গ্রামের স্কুলগুলিতে প্রকট। স্কুলে অতিরিক্ত ছুটি।’’ তিনি বলেন, ‘‘শহরে টিউশন নিয়ে পড়ুয়ারা ঘাটতি পূরণ করতে পারলেও গ্রামে কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা পুরোটাই নির্ভর করে সরকারি স্কুলের পঠনপাঠনের উপরে। সরকারি স্কুলগুলিতে আরও বেশি পরিদর্শন দরকার।’’ তাঁর দাবি, ‘‘পড়াশোনার বাইরে এত বেশি কাজ স্কুলগুলির উপরে চাপানো হয়েছে, যা পঠনপাঠন প্রচণ্ড ভাবে ব্যাহত করছে। প্রতিষেধক দেওয়া, ওষুধ খাওয়ানোর মতো কাজও এখন স্কুলে। ফলে স্কুলে পড়াশুনোর সময় কমছে। এটা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে গ্রামে। এর ফলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে সরকারি স্কুলে ভর্তি হবে না একটু স্বচ্ছল ঘরের ছেলে মেয়েরা।”

কান্দি রাজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভূমানন্দ সিংহের মতে, ‘‘ছেলেরা অষ্টম শ্রেণিতে উঠলেই পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে বাইরে চলে যাচ্ছে। সারা বছর অনুপস্থিত থেকে যাচ্ছে স্কুলে। মেয়েরা বিড়ি বাঁধছে। ১৫-১৬ বছর হলেই বিয়ে। সরকারি সাহায্যের জন্য হয়ত স্কুলের খাতায় নামটা থাকছে। তা ছাড়া কোভিডের সময় স্কুলের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন থেকেছে গ্রামের ছেলেমেয়েরা, শহরে টিউশন নিতে পারলেও গ্রামাঞ্চলে সে সুযোগও নেই।”

রঘুনাথগঞ্জ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল মণ্ডল বলছেন, “এত ছুটি কেন? অভিভাবকেরাও বুঝে গেছে সরকারি স্কুলে পড়ে কিছু হওয়ার নয়। তাই সরকারি স্কুলে মেধাবি স্বচ্ছল ঘরের ছেলে মেয়েদের ভর্তি কমছে। তারা চলে যাচ্ছে জেলার বাইরে কোনও মিশনে। সরকারি স্কুলে কন্যাশ্রীর জন্য নামটা থাকছে, কিন্তু ৯০ শতাংশ ছাত্রী আগ্রহী বিড়ি বাঁধায়। অন্তত ৪০ শতাংশ ছাত্র যাচ্ছে রাজমিস্ত্রির কাজে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Madrasa Exam Murshidabad

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

Best Value
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।